ঝাড়ুদার কি এবং কেন?

 হঠাৎ করেই এই ব্লগখানা খোলা, ঠিক করে বলতে গেলে আসলে ব্লগ না একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি আমি। নাম দিয়েছি ঝাড়ুদার ।  দশ জনকে দেখিয়ে বেড়বো এমন কোন আহামরি গুন আমার নেই। অতএব ইউটিব চ্যানেল খুলে তাদিয়ে মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাব তা হয়ত হবে না।  আর চাইলেও তা হয়ে উঠবে না ।  যদ্দুর চিনি তাতে  নিজেকে কুঁড়ে এবং অতিশয় অলস বললে ভুল বলা হবে না। 

ভ্রমনের ইচ্ছা আছে প্রবল। আর ভ্রমন কালে সবকিছু ক্যামেরা বন্দী করার ইচ্ছা ও আছে । যদি করে থাকি তবে কেমন ভ্রমন করলাম তা ভিডিও সমেত এই চ্যানেলে আপ্লোড করে দিব।  নিজের মনে রাখতে সুবিধে হবে , আর দুনিয়াও দেখলো। 

আমি সত্যজিৎ রায় দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। উনার লেখনী থেকে মূলত আমার ভ্রমনের ইচ্ছা জেগেছে। ফেলুদা পূজোর ছুটি কাটাতে নানা জায়গাতে যেতেন, ঘটনাচক্রে সেখানে জড়িয়ে পড়তেন কোন এক রোমাঞ্চকর ঘটনার সাথে। ঐ সব ঘটনার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার সাথে সাথে প্রকৃতির  অপরূপ সৌন্দর্য  তপেশ রঞ্জন মিত্রের চোখ এড়াতোনা। সে একই মুগ্ধতা নিয়ে আমিও দেখতে চাই  পৃথিবীর নানা প্রান্ত। 

সত্যজিৎ রায়। 
আনন্দমেলার ১৮৩০ পূজো বার্ষিকীতে বারীন ভৌমিকের ব্যারাম  নামে সত্যজিৎ রায়ের একটি গল্প প্রকশিত হয়। গল্পের অন্যতম চরিত্রের নাম পূলক চক্রবর্তী। 




'কে, ঝাড়ুদার?'
'ঝাড়ুদার?'
'ও যে সব জিনিসপত্তর ঝেড়ে দিত। এর-ওর ফাউন্টেন পেন, লাইব্রেরির বই, কমনরুম থেকে টেবিল টেনিস ব্যাট। আমার প্রথম রনসনটা তো ও-ই ঝেড়েছিল। অথচ অভাব-টভাব নেই, বাপ রিচ ম্যান। ওটা একধরনের ব্যারাম, জানিস তো?'

 উনাকে দেয়া সহপাঠীদের ঝাড়ুদার নামটা আমার অনেক পছন্দ হয়। সেখান থেকে এই নামখানা নেয়া। কিন্তু আমার ক্লেপ্টোমেনিয়া নেয়। তাই আশাকরি করি কারো জিনিসপত্তর ঝেড়ে দিব না ।  তবে বাংলা ভাষায় "ঝাড়া" শব্দটির বিবিধ ব্যবহার দেখা যায়।  রাগ ঝাড়া, জ্ঞান ঝাড়া, ঝেড়ে পরিষ্কার,  ঝেটিয়ে বিদেয় সহ আরো কতো কি! 

তাই ঝাড়ুদার দিয়ে নিজের চিন্তা-চেতনা আর অভজ্ঞরা পাবলিকের মধ্যে ঝেড়ে দিব সেই আশায় শুরু করলাম। 

Comments

Popular posts from this blog

Thoughts on Guantánamo Diary

In the mirror of Vincent